সম্প্রতি নারীদের নিয়ে বিশ্বে প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে ন্যাকেড রিয়েলিটি
শো। ডেনমার্কের একটি টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে এই নতুন টিভি রিয়েলিটি
শো’টি।
ইতোমধ্যেই দেশটিতে অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে চলছে উত্তেজনা আর তুমুল বিতর্ক। এই
অনুষ্ঠানকে ডেনমার্কে বলা হচ্ছে স্রেফ একটি রিয়েলিটি শো। নির্মাতারা দাবি
করছেন, ‘‘এটি একটি কাব্য, নগ্নতা নয়।’’
উদ্যোক্তারা এই শো’কে শিল্পকলা হিসেবে দেখাতে চাইলেও, নারী শরীর যে আজও
পুরুষের কাছে নেহাতই পণ্য ছাড়া কিছু নয় তাই চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করা
হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে।
শো’র জন্য একেকজন মেয়েকে আড়াই শো ইউরো দেয়া হয়। মজার ব্যাপার, প্রত্যেকটি
শো’তেই পারিশ্রমিকের টাকা দর্শকদের সামনে নগ্ন অবস্থায় মঞ্চের ওপরই দিয়ে
দেয়া হয়।
এ ধরনের একটি শো কিভাবে সরকারী ছাড়পত্র পেলো, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে
দেশটিতে। নারীকে এভাবে উপস্থাপনের জন্য বিশ্ব গণমাধ্যমেও এখন বিতর্কের ঝড়।
নারী অধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের অভিযোগ, এভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে
নারীর সম্মানহানি করা হচ্ছে। ডেনমার্কের মানবাধিকার কর্মীরাও এ ধরনের
রিয়েলিটি শো বন্ধের দাবি তুলেছেন।
তারা দাবি করেন, মানবদেহকে ‘জড়বস্তুর’ মতো উপস্থাপন করা একটি গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ।
শো’তে দেখা যায় একজন নারী পুরোপুরি নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হলভর্তি দর্শকের
সামনে। স্পট লাইটের বীম সম্পূর্ণ ঝুলে আছে নগ্ন নারীদেহের পর। মূর্তির মতো
নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে মেয়েটি।
তার পাশেই সামান্য আলোতে মুখোমুখি বসে দুজন পুরুষ হোস্ট। তারা আলাপের ছলে
একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন চোখের সামনে থাকা নারীদেহের প্রলেপ, খাঁজ
এবং শৈল্পিক ঢেউ নিয়ে।
সেই বর্ণনা শুনে হলভর্তি দর্শক হাত তালি দিয়ে অভিনন্দন জানান সেই নগ্ন
নারীকে। আর এই পুরো দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দী করে সেটা টেলিভিশনে প্রচার করা
হচ্ছে।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন