ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডকুমেন্টারির মতে, হিটলার ছিলেন একজন বিষন্নতায় ভোগা বিকৃত লিঙ্গের উম্মাদ।
হিটলারের চিকিৎসার নথিপত্র প্রমাণ করে, চিকিৎসক তাঁকে দিনে আশিটির মতো
ড্রাগ পুশ করতেন। এর মধ্যে ছিল ইঁদুরের বিষ, অ্যামফিটামিন (ইয়াবার প্রধান
উপাদান), ষাঁড়ের বীর্য এবং মরফিনের মতো ড্রাগ!
হিটলার মনে করতেন, কোকেইন তাঁর সাইনাসের সমস্যা এবং তোতলামি দূর করে।
হলোকাস্টের মতো ব্যাপক হত্যাকান্ডের সিদ্ধান্ত হিটলার নেশার ঘোরে নিয়েছিলেন!
এত বছর পর হিটলার সংক্রান্ত এই বোমাগুলো ফাটিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির মতো
বিশ্বখ্যাত টিভি চ্যানেল। চ্যানেলটি হিটলারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক Dr
Theodore Morell –এর বরাত দিয়ে জানায়, হিটলার একজন মাদক গ্রহণকারী স্নায়বিক
রোগী ছিলেন। তিনি নিয়মিত ইয়াবার প্রধান উপাদান অ্যামফিটামিন, ষাঁড়ের
বীর্য, ইঁদুরের বিষ, মরফিনসহ প্রায় আশিটি ড্রাগের তৈরি ককটেইল খেতেন।
সম্প্রতি আবিষ্কৃত কিছু চিঠি এবং রেকর্ড থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।
অধিকাংশ মনোবিজ্ঞানী এবং ইতিহাসবিদগণ মনে করেন, মিলিয়ন মিলিয়ন নির্দোষ
লোককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার পেছনে এই মাদক গ্রহণের বিশেষ ভূমিকা ছিল।
পাঁচ ফিট আট ইঞ্চি উচ্চতার এই জার্মান নেতা একাধারে একজন বিকৃত লিঙ্গের
অধিকারীও ছিলেন বলে ন্যাশনাল জিওগ্রাফী দাবি করে। এবং এর পিছনের কারণ
হিসাবে ড্রাগ গ্রহণকেই দায়ী করা হয়।
মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক নাসেইর ঘাইমি দাবি করেন, হিটলারের এই মাদক গ্রহণ
তাঁকে একজন খেদোম্মত্ত, হতাশাবাদী করে তুলছিলো। তিনি আস্তে আস্তে শুকিয়ে
যাচ্ছিলেন এবং তাঁর শরীর সবসময় কাঁপতো। তিনি বলেন, ‘‘হয়তোবা হিটলার
অ্যামফিটামিনে আসক্ত ছিলেন অথবা ছিলেন না, কিন্তু এটা সত্য যে হিটলার একজন
মানসিক রোগী ছিলেন এবং ড্রাগ এই আশঙ্কা দিন দিন বাড়িয়েই দিচ্ছিল। আর এটাই
হচ্ছে মূল বিষয়, যেহেতু ১৯৩০ সালের আগে হিটলার কখনো মাদক গ্রহণ করতেন না
তাই এর পরবর্তী সময়ে তাঁর বদলে যাবার পিছনে ড্রাগই ছিল মূল কারিগর।’’
সম্প্রতি উদ্ধারকৃত সাতচলিশ পৃষ্ঠার একটি গোপন রিপোর্টে বলা হয়, হিটলারের
একাধারে খোস-পাঁচড়া, পাকস্থলীর সঙ্কোচন এবং ঘন ঘন বায়ু নির্গমণের রোগ ছিল।
ড. মরেলুএর ড্রাগ প্রেসক্রিপশনের পূর্বে আর কেউ তাদের নেতার উলেখিত
রোগগুলি সারাতে পারে নি।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, ড. মরেল নিয়মিত হিটলারের মুত্রগ্রন্থি ও অন্ডকোষে
ইনজেকশন দিতেন। উদ্দেশ্য ছিল , হিটলার যাতে তাঁর বান্ধবীকে বিছানায়
সন্তুষ্ট করতে পারেন!
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’র এই আবিস্কারে বিশ্ব মনে হয় নতুন এক হিটলারকেই চিনতে যাচ্ছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন