ডেভিড অ্যালামবিম নামে এক ব্রিটিশ চক্ষু বিজ্ঞানী গবেষণার মাধ্যমে দাবি
করেছেন ১৯৯৭-এ স্মার্টফোন বাজারে আসার পর মায়োপিয়া (কাছের জিনিস দেখার
অক্ষমতা) অল্পবয়সীদের মধ্যে অন্তত ৩৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয় আগামী ১০
বছরের মধ্যে স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারী ৫০% তরুণরাই মায়োপিয়ার সমস্যায়
ভুগবে।
ব্রিটেনের জনসংখ্যার অর্ধেকই বর্তমানে স্মার্টফোনের মালিক। এমনকি ১৮-এর কম
বয়সীদের মধ্যেও ব্যপক ভাবে বেড়েছে স্মার্ট ফোনের ব্যবহার। স্মার্ট ফোনের
মালিকরা দিনে কম পক্ষে ২ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহারের পেছনে ব্যয় করে। এর
সঙ্গেই চলে ল্যাপটপ, টেলিভিশন, ট্যাবলেট, কম্পিউটারের পেছনে সময় ব্যয়।
এসব চোখের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এমনকি এর ফলে চিরতরে অন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে স্মার্টফোন মালিকরা সাধারণভাবে চোখের থেকে ৩০
সেন্টিমিটার দূর থেকে ফোন ব্যবহার করে। অনেকে ব্যবহারের সময় চোখের থেকে
মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার দূরে রাখে স্মার্টফোনকে।
গবেষণায় উঠে এসেছে স্মার্ট ফোনের স্ক্রিন চোখের খুব সামনে রেখে দেয়ার ফলে
মায়োপিয়ার জন্য দাযয় জিন কার্যকরী হয়ে যাচ্ছে। এপিজেনেটিক এই সমস্যার ফলে
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাছের জিনিস স্পষ্ট ভাবে দেখার অক্ষমতা। ২১থেকে ৩০ বছর
বয়সীদের ভয়াবহ ভাবে বাড়ছে মায়োপিয়া।
অ্যালামবিম আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই রকম চলতে থাকলে ২০৩৩-এর মধ্যে ৩০বছর
বয়সী স্মার্টব্যবহারকারীদের ৪০%-৫০% মায়োপিয়ার সমস্যায় ভুগবে। মহামারি
আকারে দেখা দেবে মায়োপিয়া।
ছেলে-মেয়েদের কোন বয়সে স্মার্টফোন দেয়া হবে তা নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক হবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সারা পৃথিবীতে চলতি বাজার অনুযায়ী ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা সব থেকে বেশি
স্মার্টফোন ব্যবহার করে। ২০১৪-এর মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা বয়স ভিত্তিক
দল হিসাবে স্মার্টফোনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম
হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন