You are here : Home »
Home » » বিভ্রান্ত না হয়ে নৌকাকে ফের বিজয়ী করুন: শেখ হাসিনা

বিভ্রান্ত না হয়ে নৌকাকে ফের বিজয়ী করুন: শেখ হাসিনা

Written By bdnews online on রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ | ৭:৫১ AM

এক্সট্রিম ডেক্স ‍: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি এলে উন্নয়নের পরিবর্তে চলে মিথ্যাচার। বিরোধী দল এখনো মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

তিনি বিরোধী দলের এই অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ২০২১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে নৌকাকে ফের বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী রবিবার বিকেলে সাভার আশুলিয়ায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আযোজিত পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের আবাসনের জন্য ১২তলা বিশিষ্ট ডরমেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে জনসভায় এসব কথা বলেন।

তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা-মাসহ পরিবারের লোকদের নির্মমভাবে হত্যা করে আমাকে নিঃস্ব করে দেয়া হয়েছে। এরপর আমি এদেশের মানুষের জন্য কেন কাজ করছি! আমি আমার সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করেছি। আমি কাজ করছি জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে। আপনাদের ভাগ্যন্নোয়নে। আপনারা নৌকায় ভোট দিন, আমি আপনাদের পাশে থাকব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে এখন তেঁতুল তত্ত্ব এসে গেছে। তা সমর্থন করছেন বিএনপি নেত্রী। তারা নারীদের ঘরে বসিয়ে রেখে তাদের স্বচ্ছলতার পথ বন্ধ করে দিতে চায়। তেঁতুল হুজুর যিনি ফতোয়া দিয়েছেন, তাকে বলতে চাই- ইসলাম ধর্মের প্রথম অনুসারী বিবি খাদিজা, জিহাদে শহীদ হয়েছেন বিবি সুমাইয়া। কাজেই ইসলামের নাম করে মেয়েদের লেখাপড়া ও কাজ বন্ধের চেষ্টা করবেন না। মেয়েরা কাজ করে আর্থিকভাবে বাঁচবে, স্বচ্ছল হবে সে ব্যবস্থা আমরা করব।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ ইসলামের সিবচেয়ে বেশি খেদমত করে। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়। তারা অপবাদ দিচ্ছে শাপলা চত্বরে আড়াই হাজার লোক মারা গেছে। আমরা চ্যালেঞ্জ করলে তা ৬১ জনে নেমে আসে। এর মধ্যেও অনেকের ঠিাকারা ভুয়া। তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। তারা কাবা শরীফ নিয়েও মিথ্যাচার করেছে।’

শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ধর্মের নাম নিয়ে যারা মিথ্যা কথা বলে তারা কিভাবে ধর্মের সেবা করবে? অথচ জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজত কর্মীরা কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে। তারা বলে আমরা ক্ষমতায় থাকলে নাকি আযান বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে কি এখন আযান হয় না? জানাযা হয় না?’

পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়নের মহাজোট সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শ্রমিকদের উন্নয়ন ও সেবা করতে চাই। পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থার জন্যই হোস্টেল নির্মাণ করছি। শ্রমিকদের জন্য মালিকদের ডেকে নূন্যতম মজরি ৩ হাজর টাকা করতে আমি মালিকদের বাধ্য করেছি। ৩ বছর পার হওয়ায় আবারো মজরি বৃদ্ধি করতে নির্দেশ দিয়েছি। মহিলা শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে ছিন্নমূল লাখ লাখ পরিবারকে সাবলম্বী করা হচ্ছে। রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিয়েছি। অতীতে কোনো প্রধানমন্ত্রী তার তহবিল থেকে এমন কাজ করেনি। আমি বলেই আপনাদের জন্য এটা করতে পেরেছি।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ দেশের উন্নয়নের নান চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার রাজনীতিই দেশের মানুষের জন্য। খেটে খাওয়া সব মানুষ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে সেজন্য। আর বিএনপির রাজনীতি হলো শ্রমিকদের টাকায় বিলাসিতা করা।’

তাই দেশে উন্নয়নে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিভ্রান্ত না হয়ে তার জবাব দিতে শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা।

পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের জন্য হোস্টেল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এ জনসভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Share this article :

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
E-mail : newsbd4@gmail.com
Copyright © 2013-14. XtremeNews Bangladesh Inc. - All Rights Reserved
Powered by Xtreem News ICT Team